ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিমানবন্দরে মালয়েশিয়াফেরত যাত্রীর লাগেজ থেকে ২ কোটি টাকার সোনা জব্দ।

স্টাফ রিপোর্টার | উম্মাহ২৪.নিউজ
আপলোড সময় : ০৫-০৫-২০২৫ ১১:৫৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০৫-০৫-২০২৫ ১১:৫৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
ঢাকা বিমানবন্দরে মালয়েশিয়াফেরত যাত্রীর লাগেজ থেকে ২ কোটি টাকার সোনা জব্দ। সোনা লুকানো ছিল সোনার রিং তৈরির যন্ত্রের ভেতরে

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারও সোনা চোরাচালানের ঘটনা ধরা পড়েছে।
মালয়েশিয়া থেকে ফেরা এক যাত্রীর লাগেজ থেকে প্রায় ১ হাজার ২৮৬ গ্রাম সোনা, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা, জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউস।

এই অভিযান পরিচালনা করেন কাস্টমস হাউসের প্রিভেনটিভ শাখার কর্মকর্তা বরুণ দাস।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই যাত্রীকে রোববার রাতেই বিমানবন্দরে নজরদারিতে রাখা হয়।

আটক হওয়া যাত্রীর নাম মো. সুমন, যিনি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার ভাটনিখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি মালয়েশিয়া থেকে বাটিক এয়ারের ফ্লাইট (OD-162) করে রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছান।

তার ব্যাগ স্ক্যানিংয়ে সন্দেহজনক বস্তু চিহ্নিত হলে ব্যাগ খোলা হয়।
তখন দেখা যায়, সোনার রিং তৈরির একটি মেশিনের ভেতরে বিশেষভাবে লুকানো ছিল সোনা
এই সোনার মধ্যে ছিল ১,১৯০ গ্রাম স্বর্ণপিণ্ড এবং ৯৬ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার।

বরুণ দাস বলেন, "এটি একটি অত্যন্ত কৌশলী চোরাচালানের প্রচেষ্টা।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাস্টমস অফিসাররা সময়মতো বিষয়টি ধরতে পেরেছেন।"

তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত সুমনের বিরুদ্ধে এখন ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তাকে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, "এই ধরনের অপরাধের পেছনে আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্র কাজ করছে।
এরা প্রবাসীদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজে লাগায়। অনেক সময় প্রবাসীরা বুঝতেই পারে না তারা চক্রের হাতিয়ার হয়ে গেছে।"

তিনি জানান, অনেক সময় হুন্ডির মাধ্যমে দেশের টাকা বাইরে চলে যায়, আবার সেই অর্থের বিনিময়ে সোনা দেশে আসে।
এই পুরো ব্যবস্থাই দেশের অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ।

কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন চোরাচালানীরা নানা উপায়ে সোনা লুকিয়ে আনছে — মেশিন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, খাবারের প্যাকেট, এমনকি পোশাকেও।
তাই স্ক্যানিং এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ালে এমন ঘটনা আরও আগেভাগে ঠেকানো সম্ভব হবে।
তারা আরও বলছেন, শুধুমাত্র যাত্রী নয়, এয়ারপোর্ট স্টাফদের একাংশও যদি জড়িত থাকে, তাহলে বিষয়টি আরও গুরুতর।

সরকার ইতোমধ্যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে স্ক্যানিং যন্ত্র আপডেট, ডিজিটাল নজরদারি এবং AI-ভিত্তিক অ্যালগরিদম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিচ্ছে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : NewsUPload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ